সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৫ অপরাহ্ন
সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী ও বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি শাজাহান খান, চালক অপরাধ করলেও তার জামিনের ব্যবস্থা রাখার দাবি জানিয়েছেন ।সচিবালয়ে রবিবার সড়ক পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা জোরদার এবং দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে সুপারিশ প্রণয়নের লক্ষ্যে গঠিত কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য টাস্কফোর্সের প্রথম সভা শেষে শাজাহান খান এ দাবির কথা জানান। সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শাজাহান খান বলেন, ‘আমরা বলেছি কোনো ড্রাইভার যদি অ্যাক্সিডেন্ট করে আর বিচার প্রক্রিয়ায় যদি সে অপরাধী বিবেচিত হয়ও তার যেন জামিনের ব্যবস্থা রাখা হয়। তাহলে অন্তত ড্রাইভারের ঘাটতি থাকবে না।’ ‘সড়ক পরিবহনের নতুন আইনে চালক অপরাধ করলেও যেন জামিন পায়, সরকারের কাছে এটা আমাদের দাবি। এই দাবি মানা না মানা সরকারের ব্যাপার। সড়ক দুর্ঘটনায় জামিন না পেয়ে দীর্ঘদিন গাড়ি চালাতে না পারলে চালকের ঘাটতি দেখা দেবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘একজন ড্রাইভার যদি একটা অ্যাক্সিডেন্টে করে দীর্ঘদিন গাড়ি চালাতে না পারে, এভাবে যদি সারা দেশে এক বছরে ৩ থেকে ৪ হাজার অ্যাক্সিডেন্ট হয় তাহলে ৩ থেকে ৪ হাজার ড্রাইভারের ঘাটতি পড়ে যাবে। এখনো আমরা দেশে ড্রাইভারদের প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ দিয়ে নতুন ড্রাইভার তৈরি করতে পারছি না, সেই ক্যাপাসিটি আমাদের নেই’।
চালক অ্যাক্সিডেন্ট করার পর জামিন পেলে অ্যাক্সিডেন্টের পরিমাণ বাড়বে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যেটা বলেছেন এটা কিন্তু ঠিক নয়। যদি একজন ড্রাইভার আদালত থেকে জামিন না পায় সে ক্ষেত্রে সে আর ড্রাইভিং করতে পারবে না। তাতে আরও বেশি অচলাবস্থা তৈরি হবে।’আরেক প্রশ্নের জবাবে শাজাহান খান বলেন, ‘কোনো ধর্মঘট নেই। এই আইন কার্যকরের পর লাইসেন্স ও ফিটনেস না থাকায় অনেকে ভয়ে ভীত হয়ে বের হয়নি।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল সংবাদ সম্মেলনে জানান, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) দুর্বলতার কারণে সড়ক পরিবহন আইন বাস্তবায়ন কিছু কিছু ক্ষেত্রে শিথিল করা হবে ।এ আইন বাস্তবায়ন করতে নতুন করে চার সচিবের নেতৃত্বে চারটি উপকমিটি করা হয়েছে। দুই মাসের মধ্যে তারা সুপারিশ ও অ্যাকশন প্ল্যানসহ প্রতিবেদন জমা দেবে।