সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৩ অপরাহ্ন
বাংলা নিউজডে ডেস্ক : বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে গৌরবোজ্জ্বল দিন মহান বিজয় দিবস। পরাধীনতার শৃঙ্খলমুক্তির দিন। ১৯৭১ সালে এই দিন পাকিস্তানি বাহিনীকে পরাস্ত করে বিশ্বের মানচিত্রে সৃষ্টি হয় নতুন একটি সার্বভৌম দেশ, লাল-সবুজের বাংলাদেশ।
সেই সঙ্গে বিজয় দিবস উপলক্ষে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে রাজধানী ঢাকাকে। আলোকসজ্জায় রঙিন ঢাকা যেন পরিণত হয়েছে একখণ্ড লাল-সবুজের পতাকায়।
বিজয়ের ৪৮ বছর উদযাপন উপলক্ষে ইতোমধ্যে নতুন সাজে সাজানো হয়েছে রাজধানী ঢাকাকে। বাহারি আলোকরশ্মি। লাল, নীল, হলুদ, সাদা, সোনালী, হরেক রঙের মরিচবাতি। আলোকসজ্জায় মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে জাতীয় স্মৃতিসৌধ। এছাড়া বঙ্গবন্ধুসহ মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন প্রতীকী ও জাতীয় পতাকার আদলে মোহনীয় সাজে সেজেছে রাজধানী ঢাকা।
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, নগরীর গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সড়ক, স্থাপনা, অফিস-আদালত সেজেছে বর্ণিল সাজে। সন্ধ্যার পরই লাল-সবুজের আলোতে ঝলমলিয়ে ওঠে পুরো রাজধানী। চোখ ধাঁধানো এ আলোকসজ্জার ঝলকানিতে মন কেড়েছে সবার।
রাজধানীর ব্যাংকপাড়া মতিঝিল, পল্টন, দৈনিক বাংলা, গুলিস্তানসহ বিভিন্ন এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ ভবনগুলো আলোকসজ্জা করা হয়েছে। বিভিন্ন রঙের ও বর্ণের এসব আলোকসজ্জা উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।
ব্যাংলাদেশে ব্যাংকের গভর্নর ভবনে চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জা করা হয়েছে। ভবনে বাতি ঝলমলিয়ে ফুটে উঠছে লাল-সবুজের জাতীয় পতাকা, সামনে স্মৃতিসৌধ, একপাশে অস্ত্র হাতে মুক্তিযোদ্ধারা অন্যপাশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতীকী ছবি।
এছাড়া মতিঝিল শাপলা চত্বর এলাকায় সোনালী ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, কৃষি ব্যাংক, জীবন বীমা ভবনসহ বড় বড় স্থাপনা সাজানো হয়েছে। রাস্তার দুই পাশের গাছে গাছে বাহারি আলোকরশ্মি। সাদা, লাল, নীল, সোনালী হরেক রঙের মরিচবাতি।
এদিকে রাত ১০টার পর থেকেই আতশবাজি ফোটানো হচ্ছিল। জায়গায় জায়গায় বাজানো হচ্ছে বিজয়ের গান। মাইকে মাইকে শোনা যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ।
লাল-সবুজে আলোকিত সুপ্রিম কোর্ট ও জাতীয় সংসদ ভবন
ভারতের আসামে বাংলাদেশের কূটনীতিকের গাড়িবহরে হামলা
রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিয়ে প্রতারণা করেছে মিয়ানমার: আইসিজেতে গাম্বিয়া
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ নামের একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম হয়। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে দীর্ঘ ৯ মাসে মরণপণ লড়াই করে বিজয় ছিনিয়ে আনা হয়। বাংলাদেশের এ যুদ্ধ ছিল অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়ের জন্য যুদ্ধ, পরাধীনতার বিরুদ্ধে স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ, মায়ের ভাষায় কথা বলার অধিকার আদায়ের জন্য যুদ্ধ। মাতৃভূমির কপালে বিজয়ের লাল টিপ পরাতে লাখো শহীদ তাদের বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছেন, লাখো মা-বোন সম্ভ্রম হারিয়েছেন। সূত্র : জাগো নিউজ এন কে / ১৬ ডিসেম্বর
আমেরিকা, বাংলাদেশ এবং বিশ্বের সর্বশেষ খবরের জন্য বাংলা নিউজডের ওয়েবসাইটে আসুন এবং আমাদের Bangla Newsday ফেসবুক পৃষ্ঠাটি সাবস্ক্রাইব করুন। প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা – banglanewsday@gmail.com