শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২৯ পূর্বাহ্ন
যশোরের বাঘারপাড়ায় ডেকে নিয়ে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে মাদরাসা ছাত্রী জয়নব খাতুন (১৩) হত্যার দায় স্বীকার করেছে প্রেমিক মজিবুল ইসলাম (২৫)। মঙ্গলবার যশোরের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রহমানের আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন তিনি।
গত ৪ নভেম্বর বিকেলে যশোরের বাঘারপাড়া থানা পুলিশ জয়নব খাতুনের লাশ উদ্ধার করে। পরের দিন নিহতের বাবা নড়াইল সদর উপজেলার বিছালী গ্রামের জিয়াউর রহমান শেখ বাঘারপাড়া থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামি যশোর সদর উপজেলার চাঁনপাড়া গ্রামের মজিবুল ইসলাম। ঘটনার পর তিনি পলাতক ছিলেন। ৯ নভেম্বর আসামি মজিবুলকে গ্রেফতার করা হয়। অসুস্থ থাকায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পায়। মঙ্গলবার তাকে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়।
আদালতে মজিবুল জানিয়েছেন, ভিকটিমের দুলাভাই আসাদুজ্জামান যশোর সদর উপজেলার চানপাড়া গ্রামে একটি মসজিদের ইমামের চাকুরি করেন। সেই সুবাদে মসজিদেও কোয়াটারে পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। ভিকটিম জয়নাব মাঝেমধ্যে দুলাভাইয়ের বাসায় বেড়াতে আসতো। ওই বাসার পাশেই মজিবুলের বাড়ি। হত্যকা-ের এক মাস আগে মজিবুল ও জয়নবের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। গত ৩ নভেম্বর মজিবুল ভিকটিমকে বাড়ী থেকে নড়াইল আসতে বলে। মজিবুলের আহবানে সাড়া দিয়ে উভয়ে প্রথমে নাড়ইল বাসস্ট্যান্ডে দেখা করে।
এরপর যশোর-নড়াইল সড়কের ভাঙ্গুড়ার একটি মাছের ঘেরে পাড়ে যায়। সেখানে তারা শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। এরপর জয়নব বিয়ের চাপ দিলে, সে গলা টিপে ধরে। মারা গেছে ভেবে পানিতে ফেলে দেয়। কিন্তু তথন মারা যায়নি। এরপর আবার তুলে এনে বাঁচানোর চেষ্টা করে। কিন্তু জয়নব তার কোলের মধ্যেই মারা যায়। এরপর লাশ পানিতে ফেলে পালিয়ে যায়। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার হয়ে আবার যশোর এসে অপহরণের নাটক সাজায়। সেখান থেকে পুলিশ তাকে উদ্ধার করেছে।