শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:২৭ পূর্বাহ্ন
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকা। বিধ্বস্ত হয়েছে ৫০ হাজার ঘরবাড়ি। দিশেহারা হয়ে পড়েছে মানুষ। তবে রোববার দুপুর ১২টা পর্যন্ত জেলার কোথাও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
উপকূলীয় এলাকা শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা, বুড়িগোয়ালিনী ও পদ্মপুকুর ইউনিয়নে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া জেলার বিভিন্ন অঞ্চলেও কমবেশি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।
শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিএম মাসুদুল আলম বলেন, এলাকায় একটি ঘরবাড়িও নেই। এখানকার বেশিরভাগ ঘরবাড়িই হচ্ছে মাটির তৈরি। দুই একটি টিনের। মাটির তৈরি ঘরবাড়ি ও টিনের ঘরবাড়ি সব বিধ্বস্ত হয়েছে। আমার ইউনিয়নে পাঁচ হাজারেরও অধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। রাস্তাঘাটে গাছপালা পড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এলাকার মাছের ঘেরগুলো সব ভেসে গেছে।
রোববার ভোররাত থেকে শুরু হওয়া প্রবল ঘূর্ণঝড়ে সাতক্ষীরা সদর, তালা, আশাশুনি ও শ্যামনগর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা কন্ট্রোল রুমের তত্ত্বাবধায়ক জেলা ডিআরআরও প্রশান্ত কুমার রায় জাগো নিউজকে জানান, জেলাব্যাপী ৫০ হাজার কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এর মধ্যে আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩৩ হাজার ৬৬০টি ঘর। সম্পূর্ণরুপে বিধ্বস্ত হয়েছে ১৬ হাজার ৫৮০টি ঘরবাড়ি। এছাড়া জেলার কোথাও কোনো হাতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
একই উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ভবতোষ মন্ডল বলেন, ইউনিয়নের দুই হাজারেরও অধিক কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। মাটির তৈরি কোনো ঘরবাড়িই ভালো নেই। রাস্তাঘাট বন্ধ হয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে। মাছের ঘেরগুলোও ভেসে গেছে।
অন্যদিকে আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু হেনা শাকিল জানান, হাজার হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। মানুষের থাকার জায়গাটুকুও অবশিষ্ট নেই। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।