সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫২ অপরাহ্ন
বাংলা নিউজডে ডেস্ক : আয়কর ব্যবস্থা অনলাইনে আনার প্রকল্পটি দুই বছরের জায়গায় শেষ হয়েছে ৭ বছরে। আবার কাজ শেষের দুই বছরেও রাজস্ব বোর্ডকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়নি ওই ভিয়েতনামি প্রতিষ্ঠান।
ফলে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীসহ দেশের প্রায় ৪০ লাখ করদাতার ব্যক্তিগত গোপনীয় তথ্য এখন দেশটির হাতে।
স্বচ্ছতা ও জবাবিদিহি নিশ্চিত করে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের পরিপূর্ণ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে প্রকল্প হাতে নেওয়া হয় ২০১১ সালে। এরপর নানা বাস্তবতায় ৩ দফা প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর পর কাজ শেষ হয় ২০১৮ সালে।
চলতি বছরের জুনে প্রকল্পের মূল্যায়ন শেষ করে রিপোর্ট দিয়েছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরীবিক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ। এতে সিস্টেমটিতে কমপক্ষে ১০টি ঝুঁকির কথা বলা হয়েছে। সবচেয়ে বড় ঝুঁকি এই ব্যবস্থায় করদাতার তথ্য নিরাপদ নয়।
এছাড়াও ভিয়েতনাম বসেই এখনো এই সিস্টেমে ঢুকতে পারছে বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান এফপিটি ইনফরমেশন, ফলে ঝুঁকিতে রয়েছে দেশের ৪০ লাখ করদাতার ব্যক্তিগত তথ্য। আবার যাচাই করার সুযোগ না থাকায় ভুল তথ্য দেওয়ারও ঝুঁকি রয়েছে। রয়েছে হয়রানি বাড়ার আশংকা।
অনলাইন কর ব্যবস্থা বলা হলেও ডেবিট/ক্রিডিট কার্ড ব্যবহার করে কর দেওয়ার সুযোগ নেই এতে। উৎসে কর কিংবা অগ্রিম আয়করও দেওয়া যায়না।
আবার ব্যক্তিগত কর ছাড়া প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি কর দেওয়া সম্ভব নয়। এসব সীমাবদ্ধতা টের পেয়ে তখনই ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিলেন সদ্য সাবেক এনবিআর চেয়ারম্যান। কিন্তু পরিস্হিতি বদলায়নি।
এ প্রসঙ্গেএনবিআর এর সাবেক চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া বলেন, ‘ওদের দিক থেকে অনেক ল্যাপস আছে। আমরা বিভিন্ন সময়ে ওই কোম্পানির সঙ্গে কথা বলি।
কিন্তু তাদের কাছ থেকে ভালো রেসপন্ড না পেয়ে আমি একটি চিঠি লিখি। এই প্রজেক্ট যেহেতু শেষ হয়ে গেছে। সব ইনফরমেসন তাদের কাছ থেকে নিয়ে, তাদেরকে ব্লাক আউট করে দিতে হবে।’
এত সব অপূর্ণতার পরও প্রকল্পের সব টাকা বুঝে পেয়েছে বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান।সূত্র ডিবিসি নিউজ।
আমেরিকা, বাংলাদেশ এবং বিশ্বের সর্বশেষ খবরের জন্য বাংলা নিউজডের ওয়েবসাইটে আসুন এবং আমাদের Bangla Newsday ফেসবুক পৃষ্ঠাটি সাবস্ক্রাইব করুন।