শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪৪ পূর্বাহ্ন
যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ব্রাসেলস, জেনেভাসহ ৬৫টি দেশে স্থানীয়ভাবে ২৬৫টি ভুয়া নিউজ ওয়েবসাইট নিয়ন্ত্রণের পেছনে আছে ভারতীয় প্রভাবিত নেটওয়ার্ক।ভারতের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু জানায়, ইউরোপের একটি এনজিও ডিসইনফোল্যাবের গবেষণায় এই বিষয়টি উঠে আসে।ইউরোপ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভুক্ত দেশ, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানকে লক্ষ্য করে চালানো গুজব চিহ্নত ও মোকাবিলার কাজ করে এনজিওটি।
গবেষণায় দেখা গেছে, এসব ভুয়া ওয়েবসাইটের বেশিরভাগ নাম রাখা হয়েছে বন্ধ হয়ে গিয়েছে এমন স্থানীয় সংবাদপত্রের নামে বা প্রতিষ্ঠিত কিছু মিডিয়ার নকল করে। বিশ্বাসযোগ্যতার জন্য তারা কেসিএনএ, ভয়েস অব আমেরিকা, ইন্টারফেক্সসহ অনেক সংবাদ সংস্থা থেকে সংবাদ পুনর্প্রকাশ করে থাকে।
ভুয়া সাইটের কয়েকটি হচ্ছে, themirrorofaustralia.com, thetimesofceylon.com, thehoovergazette.com, theseattlestar.com, miamivalleychannel.com, timesofgeneva.com thedublingazette.com.
পোর্টালগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এই সাইটগুলো একই ধরনের ভারত সংশ্লিষ্ট বিক্ষোভ, ইভেন্ট, ঘটনা, পাকিস্তানবিরোধী কন্টেন্ট প্রকাশ করে। এদের প্রত্যেকেরই টুইটার একাউন্ট আছে।ভারতের নির্দিষ্ট কিছু ঘটনা, বিক্ষোভ, জমায়েত নিয়ে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে প্রভাবিত করতে এসব ভুয়া মিডিয়া কাজ করে আসছে। পাকিস্তান সম্পর্কে মানুষের ধারনা পাল্টে দিতে এদের তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়।
সার্চ ইঞ্জিনে অনুসন্ধান করলে প্রত্যকের নিউজ লিংকে চলে আসে একই সংবাদ। এসব ভুয়া সংবাদমাধ্যম পরস্পরকে রেফারেন্স ও সূত্র হিসেবে উল্লেখ করে সংবাদ প্রকাশ করে। ফলে পাঠকের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে ভুয়া সংবাদটি শনাক্তে।
দেখা গিয়েছে, ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট সংক্রান্ত মাসিক সংবাদপত্র ইপি টুডে চালানোর পেছনে রয়েছে ভারতীয় স্টেকহোল্ডাররা। যেটির পেছনে আছে ভারতীয় থিং ট্যাংকের বিশাল একটি নেটওয়ার্ক। আছে অনেকগুলো এনজিও।
সেইসঙ্গে নয়াদিল্লির শ্রীবাস্তভা গ্রুপ পরিচালিত অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান। আইপি এড্রেস অনুসন্ধান করে দেখা গিয়েছে, অখ্যাত সংবাদমাধ্যম নিউদিল্লি টাইমস এবং ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর নন-এলাইন্ড স্টাডিজ (আইআইএনএস) পরিচালিত হয় শ্রীবাস্তভা গ্রুপ থেকে।
এই আইআইএনএসের আমন্ত্রণেই কয়েক সপ্তাহ আগে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ২৭ জন এমপি ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর ভ্রমণ করেন এবং ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করেন।
Source: THIKANA