শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২৬ পূর্বাহ্ন
বাংলা নিউজডে ডেস্ক : ভারত ও নেপালের মধ্যে সীমান্ত বিবাদের আবহে নেপালের সংসদে ‘ম্যাপ আপডেট বিল’ পেশ করা হয়েছে। রোববার এ সংক্রান্ত নতুন ম্যাপ আপডেট বিল সংসদের নিম্নকক্ষ ‘হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস’-এ পেশ করেন নেপালের আইনমন্ত্রী শিব মায়া তুম্বাহাম্ফি।
নতুন মানচিত্রে ভারত-নেপাল সীমান্তের লিমপিয়াধুরা, কালাপানি ও লিপুলেখকে নেপালের অংশ বলে দাবি করা হয়েছে। কিন্তু ভারতের দাবি, ওই তিনটি অংশই ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ এবং উত্তরাখণ্ড রাজ্যের পিথোরাগড় জেলার অন্তর্ভূক্ত।
ভারতের পক্ষ থেকে সম্প্রতি উত্তরাখণ্ডের গাটিয়াবর্গ থেকে লিপুলেখ পর্যন্ত ৮০ কিলোমিটার রাস্তার আনুষ্ঠানিক সূচনা করার পরে এ নিয়ে বিবাদ চরমে ওঠে। নেপালের দাবি, ওই রাস্তার অংশ নেপালের ভূখণ্ডের মধ্যে দিয়ে গেছে। এরপরেই নেপালের ভূমি মন্ত্রণালয় দেশের সংশোধিত নতুন ম্যাপ প্রকাশ করলে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়।
এ নিয়ে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়ে দেয়, ‘এই একপাক্ষিক কার্যক্রম ঐতিহাসিক ঘটনা ও প্রমাণসাপেক্ষ নয়। কৃত্রিমভাবে দেশের সীমান্ত এভাবে বাড়িয়ে দেওয়াকে ভারত কোনওভাবেই মেনে নেবে না।’ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেছেন, ‘বিষয়টি আমরা অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছি।’
রোববার হিন্দি টিভি চ্যানেল ‘আজতক’ জানিয়েছে, নেপাল সরকার দেশে প্রবেশের জন্য উন্মুক্ত সীমান্ত বন্ধ করে নির্দিষ্ট সীমান্ত এলাকা দিয়ে প্রবেশ পথ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতদিন ভারতীয় নাগরিকরা বিনা বাধায় নিজেদের সুবিধাজনক স্থান দিয়ে নেপালে প্রবেশ করতেন। কিন্তু এবার সীমান্তের নির্দিষ্ট এলাকা দিয়েই প্রবেশের অনুমতি মিলবে।
অন্যদিকে, ম্যাপ ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষিতে নেপাল নিজ সীমান্ত এলাকায় সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই প্রথম এমন ঘটনা ঘটতে চলেছে বলেও গণমাধ্যমটি জানিয়েছে।
ভারত ও নেপালের মধ্যে বিতর্কিত এলাকাগুলো ম্যাপে অন্তর্ভুক্ত করতে নেপাল সরকার মরিয়া হওয়ার নেপথ্যে চীনের সমর্থন রয়েছে বলে ভারতীয় বিশ্লেষকরা দাবি করেছেন। পার্সট্যুডে।
আমেরিকা, বাংলাদেশ এবং বিশ্বের সর্বশেষ খবরের জন্য বাংলা নিউজডের ওয়েবসাইটে আসুন এবং আমাদের Bangla Newsday ফেসবুক পৃষ্ঠাটি সাবস্ক্রাইব করুন।