সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪২ অপরাহ্ন
বাংলা নিউজডে ডেস্ক রিপোর্ট : ইসলামী ছাত্র শিবিরের ২০ নেতাকর্মীকে কুরআন ক্লাশ থেকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার (১ ডিসেম্বর), দুপুরে জেলা শহরের ভাদুঘর আল হেরা মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত দলীয় কার্যালয় থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার পুলিশ তাদের আটক করে । আল হেরা মসজিদ কমপ্লেক্সে শিবিরের বৈঠক চলছে এমন খবরে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কমপ্লেক্স ভবনটি ঘিরে রাখে পুলিশ।
আটক এর সময় তাদের কাছ থেকে ইসলামী বই, বিভিন্ন ওয়াজ ও ইসলামী লেকচারের সিডি, দলীয় লিফলেট, পোস্টার ও ডায়েরিসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র জব্দ করে নিয়ে যায় পুলিশ।
আটক শিবিরকর্মীরা হলেন, নুরুল আমিন, জামির উদ্দিন, আম্মার হোসেন, আসিফ, জাকারিয়া, নাঈম, জহির, সাঈদ, কাউছার, হাবীব, সাদেক, জাহিদ, শাহাবুদ্দিন, শাহজালাল, হাসান, রাফি জহিরুল ইসলাম ও সুজন। আটকদের সবাই ছাত্রশিবিরের জেলা শাখার সদস্য, কর্মী ও সমর্থক বলে জানা যায়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বাংলা নিউজডে (Bangla Newsday) কে জানান, ১৬ ডিসেম্বরকে সামনে রেখে জেলা শহরে নাশকতা করার জন্য গোপন মিটিং করছিল শিবিরের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভাদুঘরের আল হেরা মসজিদ কমপ্লেক্সের হাফিজিয়া মাদরাসায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে জিহাদি বই, সিডি, লিফলেট, চাঁদার রশিদ, কর্মপরিকল্পনার ডায়েরি ও পোস্টার উদ্ধার করা হয়।
তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি রোকন উদ্দিন জানান, সংগঠনের নিয়মিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে দলীয় কার্যালয়ে কুরআন ক্লাশ চলছিল। পুলিশ সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে হামলা চালিয়ে আমাদের কর্মী সমর্থকদের আটক করে নিয়ে যায়। আমাদের নিকট থেকে দেশের স্বীকৃত প্রকাশনীর ইসলামী বই-পুস্তক ও কুরআন-হাদিস জব্দ করে এগুলোকে জেহাদী বই হিসেবে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে। তিনি কুরআন ক্লাশের মেধাবী ছাত্রদের অন্যায়ভাবে আটকের নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে তাদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।
জেলা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি বলেন , কোরান পড়া কী নিষেধ ? শিবির সংগঠনটি ইসলামের পক্ষে কাজ করে।এই গুলো জুলুম হচ্ছে কোরআন শিক্ষা অবস্থায় আটক করা কাফেরদের মত পরিচয় দিয়েছে বাহিনী। এভাবে মুসলিমকে গ্রেপতার করে ইসলামকে ধংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে ।কেমন বাংলাদেশে বসবাস করি নিজে ও জানি না কুরআন শরীফ পরলেও আটক করা হয় ।