শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩১ পূর্বাহ্ন
বাংলা নিউজডে ডেস্ক : করোনার সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়েই খুলেছে প্রায় ৫শ’ পোশাক কারখানা। স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিয়ে সন্তুষ্ট নন শ্রমিকরা।
ঝুঁকি নিয়েই সীমিত আকারে উৎপাদনে ফিরেছে দেশের প্রায় ৫শ’ পোশাক কারখানা। আপাতত ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ শ্রমিক দিয়ে শুরু করলেও, আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহেই পুরোদমে কারখানা চালু করতে চান মালিকরা। বিজিএমইএ থেকে স্বাস্থ্যবিধির নির্দেশিকা দিলেও, অনেক কারখানা শ্রমিক নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে সন্তুষ্ট নন।
টঙ্গি শিল্পাঞ্চল এলাকায় সকালের দিকে গিয়ে দেখা যায় সড়কে আর কেউ নেই। ব্যস্ততা শুধু পোশাক কর্মীদের। কেননা সাধারণ ছুটি থাকলেও, রবিবার পোশাক কারখানা খুলেছে।
সাভার, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, চট্ট্রগামেও বহুদিন পর দেখা গেলো দলবাধা পোশাক কর্মীদের। অর্থাৎ ভাঙা হলো সামাজিক দূরত্বের প্রথম শর্ত। প্রবেশ গেটে হাতে জীবাণুনাশক দেয়া হচ্ছে। কিন্তু, কারখানার ভেতরে স্বাস্থ্যবিধি কতটুকু মানা হচ্ছে?
উল্টো চিত্রও আছে। জীবাণুনাশক চেম্বারে অনেকটা নিরাপদ হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে কিছু কিছু কারখানা। সামাজিক দূরত্বের হিসেব কষেই কাজ করছেন শ্রমিকরা।
করোনাসংক্রমণের ঝুঁকি এড়িয়ে কিভাবে উৎপাদন চালু রাখা যায়, সে বিষয়ে মালিকদের স্বাস্থ্যবিধি নির্দেশিকা দিয়েছে বিজিএমইএ। সেখানে অর্ধেক জনবল নিয়ে কারখানা চালুর পরামর্শ দিয়েছে সংগঠনটি। একইসঙ্গে কর্মীদের মাঝে দূরত্ব থাকতে হবে কমপক্ষে ৬ ফুট।
মার্চে বাংলাদেশি পোশাকের মূল বাজার ইউরোপে করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে একের পর এক অর্ডার বাতিল করতে শুরু করে ব্র্যান্ডগুলো। তবে এখন সেখানকার পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। পোশাকের চাহিদাও বাড়ছে। এমন অবস্থায় উৎপাদন শুরুর সিদ্ধান্ত নেয় বিজিএমইএ। তাতে সাড়া দিয়েছে প্রায় চার’শ কারখানা।
বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ সূত্রে জানা গেছে, অন্তত ১৫টি ব্র্যান্ড মার্চে বাতিল করা রপ্তানি আদেশ পুনর্বহাল করেছে।সূত্র ডিবিসি নিউজ।
আমেরিকা, বাংলাদেশ এবং বিশ্বের সর্বশেষ খবরের জন্য বাংলা নিউজডের ওয়েবসাইটে আসুন এবং আমাদের Bangla Newsday ফেসবুক পৃষ্ঠাটি সাবস্ক্রাইব করুন।