শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২১ পূর্বাহ্ন
আনএমপ্লয়মেন্ট প্রতারণায় ফেঁসে যাচ্ছেন অনেকেই। স্টেট থেকে গৃহীত অর্থ ফাইনসহ ফেরত দেওয়ার নোটিশ পাচ্ছেন মিথ্যা তথ্য প্রদানকারীরা। বিপদ আঁচ করতে পেরে তারা ধর্না দিচ্ছেন এটর্নি অফিসে। স্টিমুলাস প্যাকেজের প্রতি এডাল্টের বিপরীতে ১২০০ ডলার নিয়ে জালিয়াতি ঘটেছেও অনেক।
স্বামী-স্ত্রী পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ২০১৮/২০১৯ অর্থ বছরের ট্যাক্স ফাইল করেছেন। এরমধ্যেই কেউ মারা গিয়েছেন। কিন্তু টাকা জয়েন্ট একাউন্টে জমা পড়েছে। মৃত ব্যক্তির টাকা উত্তোলন করে খরচ করা হয়েছে। আইআরএসকে বিষয়টি জানানো হয়নি।
মৃত ব্যক্তির নামে প্রাপ্ত চেকও ক্যাশ করেছেন অনেকে। আইআরএস এর নজরে আসায় তারা এখন মহাবিপদে। জরিমানাসহ সমুদয় অর্থ ফেরত দিতে হচ্ছে তাদের।
স্টেটের তদন্তের ফাঁদে পড়েছেন বেশ কিছু প্রবাসী বাংলাদেশি। ব্রঙ্কসে বসবাসরত সবুজ নামের এক বাংলাদেশি করোনা শুরুর প্রথম দিকে অর্থাৎ ফেব্রুয়ারির শেষে বাংলাদেশে গিয়েছিলেন। জীবন জীবিকার প্রয়োজনে চালাতেন উবার ও লিফট।
স্টিমুলাস প্যাকেজ কংগ্রেসে পাস হবার পর ও নতুন নীতিমালার আলোকে সুযোগ পান বেকারভাতার জন্য আবেদনের। লেবার ডিপার্টমেন্টে ওপেন করেন আনএমপ্লয়মেন্ট একাউন্ট। আমেরিকায় বসবাসরত ভাইকে দিয়ে সবুজ আনএমপ্লয়মেন্টের আবেদন করেন। ফেডারেলের ৬০০ ডলারসহ স্টেট থেকে প্রতি সপ্তাহে সবুজের একাউন্টে জমা হতে থাকে ৮০০ ডলার।
সিলেটে বসে সবুজ চৌধুরী ব্যাংক/ ক্রেডিট কার্ড দিয়ে ইচ্ছামতো অর্থ খরচ করতে থাকেন। আর নিউইয়র্কে বসে ভাই তার পক্ষে প্রতি সপ্তাহে রোববার আনএমপ্লয়মেন্ট রিসার্টিফাই করেন। দেশে বসেই সবুজ খোশ মেজাজে অনলাইনে নিউইর্য়ক স্টেটের ওয়েবসাইডে লগ ইন করে তার অর্থের খতিয়ান দেখতেন। ‘গ্লোবাল জিপিএস’ সিস্টেমে ধরা পড়ে যায় সবুজের অবস্থান।
তদন্তে নেমে পড়ে লেবার ডিপার্টমেন্ট। তার ক্রেডিট কার্ডের ট্রানজিকশনও হাতে আসে তদন্তকারীদের। চিঠি আসে সবুজের বাসায়। লক করে দেয়া হয় সবুজের আনএমপ্লয়মেন্ট একাউন্ট। সবুজের টনক নড়ে তখন। ভাই নিউইর্য়ক থেকে টেলিফোনে জানান, লেবার ডিপার্টমেন্ট এর চিঠির কথা। দ্রুত নিউইয়র্কে ছুটে আসেন সবুজ। এ ঘটনায় ভাইও বিপদে। ফাইনসহ প্রায় ১০ হাজার ডলার ফেরত দেওয়ার চিঠি পেয়েছেন সবুজ। পরামর্শ নিতে ছুটে যান তিনি ল’ইয়ারের অফিসে। আইনজীবীকেও দিতে হবে উপায় বাতলে দেওয়ার ফিস।
উল্লেখ্য, বিদেশে (কানাডা ব্যতিত) অবস্থান করে কেউ বেকারভাতা গ্রহণ /আবেদন আইন বর্হিভূত। আমেরিকা ত্যাগ করার আগে বেকারভাতা গ্রহণকারীদের অবশ্যই লেবার ডিপার্টমেন্টকে জানাতে হবে। তাহলে বিদেশ থেকে ফেরার পর আবার বেকারভাতা গ্রহণের সুযোগ পাবেন। এদিকে বেকারভাতা গ্রহণ করে অনেকেই গোপনে ক্যাশে কাজ করছেন। যা কিনা লেবার ডির্পামেন্টের আইন বিরুদ্ধ। এসব ঘটনায়ও ফেঁসে গেছেন আনেকেই।
এ ব্যাপারে এটর্নি মঈন চৌধুরী বলেন, এটা একটি গর্হিত অন্যায়। অভিযুক্তদের ফাইনসহ সমুদয় টাকা ফেরত দিতে হবে। এরেস্ট বা জেলে যেতে হবে না। তবে তাদের অপকর্ম রের্কডে থাকবে। এ ধরনের সমস্যায় যারা পড়েছেন দ্রুত লেবার ডিপার্টমেন্টের সাথে যোগাযোগ করে ফয়সালা করতে হবে। নইলে তারা নানা ধরনের সম্যায় পড়বেন। প্রয়োজনে তারা এক্সপার্ট লোকজনের সাহায্য নিতে পারেন। ইমিগ্র্যান্ট হিসেবে আমাদেরকে আরও সর্তকভাবে চলতে হবে। সূত্র : আজকাল
আমেরিকা, বাংলাদেশ এবং বিশ্বের সর্বশেষ খবরের জন্য বাংলা নিউজডের ওয়েবসাইটে আসুন এবং আমাদের Bangla Newsday ফেসবুক পৃষ্ঠাটি সাবস্ক্রাইব করুন।